এবারের সার্চ কমিটি কোনো মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করার প্রস্তাব দেবে না বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।
রোববার বিকেলে রংপুরের পল্লী নিবাস বাসভবনে পার্টির নেতাকর্মীদের এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে তিন দিনের সফরে রোববার রংপুরে পৌঁছেন তিনি। এ সময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেখানে উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দেবে। আমি সেজন্য সেখানে যাব, সভা-সমাবেশ করব। সেখানে আমরা যোগ্য প্রার্থী দেব।”
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, “বিএনপি আর ওঠে দাঁড়াতে পারবে না। বিএনপি আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আগামী নির্বাচন হবে দুই পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াই। আমরা একটু শক্তি অর্জন করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় যেতে পারি।”
তিনি বলেন, “আমি চাই পার্টির নেতাকর্মীরা নিজেদের সব বিভেদ ভুলে যাবে। আমরা আরও শক্তি অর্জন করে ক্ষমতায় যাবো এমন চিন্তা নিয়েই দল গোছাতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাদের যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব।”
এইচএম এরশাদ বলেন, “দেশের মানুষের ভাষা বুঝতে হবে। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কোথায় গেছে! এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন করতে হবে।”
এসময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর আমার অনুকূল্যে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসল। আমাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের জেল দেয়া হলো। বিএনপি আমাকে কারাগারে রেখে ফাঁসি দিতে চাইল। আমাকে দেশের মানুষের ভালবাসা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে, আমি মরি নাই।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, “আমার পায়ে এখনও শৃঙ্খল। আমি শৃঙ্খল মানি নাই। জাতীয় পার্টি নিন্দিত পার্টি নয়, জননন্দিত পার্টি। বিগত নির্বাচনগুলোর ফলাফলেই তা বলে দেয়।”
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায়, জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক হোসেন মকবুল আসিব শাহরিয়ার, মহানগর কমিটির সভপতি উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মেস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন বার্তা
পাঠকের মতামত: